ইহরাম অবস্থায় নারীরা কী নিকাব ও হাত মোজা পরতে পারবে?
তবে ইহরাম অবস্থায় নিকাব বা অনুরূপ কোন পোশাক দিয়ে সর্বক্ষণ চেহারা ঢেকে রাখা বৈধ নয়। ইবন উমর (রা.) হতে বর্ণিত, وَلاَ تَنْتَقِبْ الْمَرْأَةُ الْمُحْرِمَةُ وَلاَ تَلْبَسْ الْقُفَّازَيْنِ “ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখ ঢাকবে না এবং হাতে মোজা পরবে না।’’ [তিরমিজী, আস—সুনান, ৮৩৩]
মহিলাদের ইহরাম কী?
নারীরা হজ ও ওমরা পালনের জন্য ইহরামের পোশাক হিসেবে যে কোনো ধরনের শালীন পোশাকই পরিধান করতে পারবে। নারীর জন্য নিজের স্বাভাবিক পোশাকই হলো ইহরাম। আইশা (রা.) বলেন, عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها قَالَتْ: " الْمُحْرِمَةُ تَلْبَسُ مِنَ الثِّيَابِ مَا شَاءَتْ ‘নারীরা ইহরাম অবস্থায় নিজ অভিরুচি মাফিক পোষাক পরতে পারবেন। ’ [আল—বাইহাকি, আস—সুনান আল—কুবরা, ৯১২২]
তবে তাদের পোশাক নির্বাচনে কিছু বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা জরুরি। আর তাহলো—
- ভালোভাবে সতর ঢাকা যায় এমন পোশাক পড়া
- পর্দার খেলাপ এবং কু—দৃষ্টি ও ফেতনার আশংকা হয় এমন পোশাক না পড়া
- আঁট—সাঁট, ফিটিংস; শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন পোশাক পরিধান না করা
- খুব রংচটে পোশাক পরিধান না করা।
ইহরাম অবস্থায় মহিলারা চেহারা ঢাকতে পারবে?
নারীরা মুখমণ্ডল এবং হাতের কব্জি খোলা রাখা নিয়ম। তারা নেকাব বা বোরকা দ্বারা মুখমণ্ডল ঢাকা রাখতে পারবেন না। ইবন উমর (রা.) হতে বর্ণিত, وَلاَ تَنْتَقِبْ الْمَرْأَةُ الْمُحْرِمَةُ وَلاَ تَلْبَسْ الْقُفَّازَيْنِ “ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখ ঢাকবে না এবং হাতে মোজা পরবে না।’’ [তিরমিজী, আস—সুনান, ৮৩৩]
তবে গায়ের মাহরাম পুরুষদের সামনে বা মাঝে গেলে তখন মুখমণ্ডল আবৃত করবেন। আইশা (রা.) বলেন, عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْرِمَاتٌ، فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا عَلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ “অনেক কাফেলা আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল। তখন আমরা রাসূলুলুল্লাহ (সা.)—এর সঙ্গে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম। তারা আমাদের সামনা—সামনি আসলে আমাদের নারীরা নিজ মুখাবরণ মাথা থেকে নামিয়ে নিজ মুখমন্ডল ঢেকে ফেলতেন। অতঃপর তারা অতিক্রম করে চলে গেলে আমরা মুখ খুলতাম।” [আবূ দাউদ, আস—সুনান, ১৮৩৩]
ইহরামের অবস্থায় মহিলাদের বিশেষ অসুস্থতা হলে কি করবে?
উমরা করতে গিয়ে পূর্বেই মহিলার মাসিক শুরু হয়ে গেলে পবিত্রতার অপেক্ষা করবে। সফর করা জরুরী হলে ইহরাম অবস্থায় থেকে সফর করে পুনরায় ফিরে এসে উমরাহ আদায় করবে। কিন্তু বহির্দেশের হলে খরচ, ভিসা ইত্যাদির ঝামেলা থেকে বাঁচতে উমরাহ করে নিতে পারবে। অর্থাৎ ভিসা শেষ হওয়ার ভয় থাকলে লজ্জাস্থানে প্যাড বেঁধে তাওয়াফ ও সাঈ করে চুলের কিছু অংশ কেটে উমরা সম্পন্ন করে হালাল হয়ে যাবে। যেহেতু ঐ সময় তাওয়াফ করা তাঁর জন্য জরুরী প্রয়োজন। আর অতি প্রয়োজনে ও অসুবিধার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ জিনিস বৈধ হয়ে যায়। [ফাতাওয়া ইবন উসাইমীন, ২/৬৪৩] তবে হজ্জের উমরাহ হলে হজ্জের কাজ সম্পন্ন করার পর উমরা করে নিবে, যেমনটা আইশার (রা.) ক্ষেত্রে নবী (সা.) নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বর্তমানে মহিলাদের মাসিক সাময়িক আটকে দেয়া বা পিছিয়ে দেয়ার নিরাপদ চিকিৎসা ও ঔষধ রয়েছে। বিশ্বস্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উমরার জন্য পরিকল্পনা নেয়া দিনগুলোতে মাসিক আটকে দেয়া বা পিছিয়ে দেয়া বৈধ হবে। [ফাতাওয়া ইবন উসাইমীন, ২/১৮৫]
ইহরাম অবস্থায় পুরুষরা কি মাথা ঢাকতে পারবে ?
ইহরাম অবস্থায় শুধু মাত্র পুরুষদের জন্য মাথা ঢাকা হারাম। নবীজি (সা.) আরাফায় অবস্থানকালে উষ্ট্রীর আঘাতে নিহত মুহরিম ব্যক্তির সম্পর্কে বলেন, اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْهِ وَلَا تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ “তোমরা তাকে পানি ও কুল পাতা দ্বারা গোসল দাও ও তাকে তার (ইহরামের) দুটো কাপড়েই কাফন দাও এবং তার মাথা ঢাকবে না।” [বুখারী, আস—সহীহ, ১২৬৫] সুতরাং কোনো পুরুষ ব্যক্তির জন্য ইহরাম অবস্থায় এমন কিছু দ্বারা মাথা ঢাকা জায়েয নয়, যা মাথার সাথে লেগে থাকে, যেমন পাগড়ী, বিভিন্ন প্রকারের টুপী ও রূমাল ইত্যাদী। তবে এমন কিছু দ্বারা মাথা ঢাকা যা মাথার সাথে লেগে থাকে না তাতে কোন অসুবিধা নেই। যেমন ছাতা, গাড়ীর ছাদ ও তাঁবু ইত্যাদী।
পুরুষের ইহরামের কাপড় কেমন হতে হবে?
চাদরের মত দু’টুকরা কাপড় একটি নীচে পরবে। দ্বিতীয়টি গায়ে দিবে। কাপড়গুলো সেলাইবিহীন হতে হবে। পরিচ্ছন্ন ও সাদা রং হওয়া মুস্তাহাব। ৩য় আর কোন প্রকার কাপড় গায়ে রাখা যাবে না। যেমন টুপি, গেঞ্জি, জাইঙ্গা বা তাবীজ কিছুই না। তবে শীত নিবারণের জন্য চাদর ও কম্বল ব্যবহার করতে পারবে।
মেয়েদের ইহরামের কাপড় কী ধরনের হওয়া চাই?
নারীদের ইহরামের জন্য বিশেষ কোন পোশাক নেই। মেয়েরা সাধারণতঃ যে কাপড় পরে থাকে সেটাই তাদের ইহরাম। তারা নিজ ইচ্ছা মোতাবেক ঢিলেঢালা ও শালীন পোষাক পরবে। তবে যেন পুরুষের পোষাকের মত না হয়। এটা কাল, সবুজ বা অন্য যে কোন রঙের হতে পারে।
Hijaz Service Area
Find your nearby Hajj & Umrah agency associated with Hijaz Hajj & Umrah Kafela Bangladesh. Identify the trusted Umrah agents in your area and get in touch with them to facilitate your next holy journey to Makkah and Madina.
- Bagerhat
- Bandarban
- Barguna
- Barisal
- Bhola
- Bogra
- Brahmanbaria
- Chandpur
- Chittagong
- Chuadanga
- Cox's Bazar
- Cumilla
- Dhaka
- Dinajpur
- Faridpur
- Feni
- Gaibandha
- Gazipur
- Gopalganj
- Habiganj
- Jamalpur
- Jessore
- Jhalokati
- Jhenaidah
- Joypurhat
- Khagrachari
- Khulna
- Kishoreganj
- Kurigram
- Kushtia
- Lakshmipur
- Lalmonirhat
- Madaripur
- Magura
- Manikganj
- Maulvibazar
- Meherpur
- Munshiganj
- Mymensingh
- Naogaon
- Narail
- Narayanganj
- Narsingdi
- Natore
- Nawabganj
- Netrokona
- Nilphamari
- Noakhali
- Pabna
- Panchagarh
- Patuakhali
- Pirojpur
- Rajbari
- Rajshahi
- Rangamati
- Rangpur
- Satkhira
- Savar
- Shariatpur
- Sherpur
- Sirajgonj
- Sunamganj
- Sylhet
- Tangail
- Thakurgaon