বাংলাদেশ থেকে এক সফরে একাধিক উমরাহ করা যাবে কী?

বাংলাদেশ থেকে একই সফরে একাধিক ওমরাহ করা যাবে। দূরবর্তী দেশ থেকে সফর করে আসা উমরাকারীদের ক্ষেত্রে আলিমগণ বলেন,

وقد يرخص لمن كان بمكة في الخروج إلى التنعيم ليحرم بعمرة عن غيره إذا كان قد جاء من بلاد بعيدة يحتاج إلى تأشيرة ونفقات كثيرة لدخول بلاد الحرمين الشريفين ، ولا يدري هل سيتيسر له ذلك أم لا؟

“কেউ যদি দূরবর্তী কোনো দেশ থেকে মক্কায় আসেন এবং পবিত্র হারামাইনের দেশে প্রবেশের জন্য ভিসা এবং প্রচুর খরচের প্রয়োজন হয়, তবে এমন উমরাকারীর জন্য তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধার অনুমতির ক্ষেত্রে তাকে ছাড় দেওয়া যায়। কেননা, সে জানে না আর উমরা পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে কি—না?” [ইসলাম সাওয়াল জাওয়াব, ১৩৪২৭৬]

বারবার উমরা পালন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏"

“আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ্জ ও উমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটো আমল দারিদ্র ও গুনাহ এমনভাবে বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে ভাটার আগুন লোহা ও সোনা—রূপার ময়লা—জং দূরিভূত করে। একটি কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” [তিরমিজী, আস—সুনান, ৮০৮]

তাই বাংলাদেশ থেকে উমরার সফরে থাকা হাজ্জীরা ইচ্ছা করলে একাধিক উমরা করতে পারেন।

মাথা মুন্ডন কত সময়ের মধ্যে করতে হয়? বিলম্ব হলে উমরায় কোনো সমস্যা হবে কি—না?

উমরায় মাথমুণ্ডন করাকে আরবীতে ‘আল—হালক’ (الحلق) এবং চুল খাটো করাকে ‘আত—তাকছির’ (التقصير) বলা হয়। মুণ্ডন বা খাটো করে ইহরাম থেকে বের হওয়ার পদ্ধতিকে ‘আত—তাহলিল‘ (التحليل) বলে। পবিত্র কুরআনে দু‘টি একসাথে উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

لَتَدۡخُلُنَّ الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ اٰمِنِیۡنَ ۙ مُحَلِّقِیۡنَ رُءُوۡسَکُمۡ وَ مُقَصِّرِیۡن

‘‘তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুন্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল—মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।’’ [আল—কুরআন, সূরা ফাতহ: ২৭]

আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,

উমরায় মাথা মুন্ডন

وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ

আর তোমাদের যারা সাথে করে কুরবানীর পশু আনোনি, তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়া সাঈ করে, চুল খাটো করে, ইহরাম খুলে ফেলবে। [আবূ দাউদ, আস—সুনান, ১৮০৫]

أَحِلُّوا مِنْ إِحْرَامِكُمْ بِطَوَافِ الْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَقَصِّرُوا

বাইতু্ল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা—মারওয়ার সা‘ঈ সমাধা করে তোমরা ইহরাম ভঙ্গ করে হালাল হয়ে যাও এবং চুল ছোট কর। [বুখারী, আস—সহীহ, ১৫৬৮]

মাথামুণ্ডন বা চুল খাটো করার মাধ্যমে ইহরাম থেকে ‘আত—তাহলিল‘ (التحليل) হওয়া ওয়াজিব। যতো দ্রুত সম্ভব হালাল হয়ে যাওয়া উত্তম, যাতে কোনো নিষিদ্ধ কাজ সংঘঠিত না হয়ে যায়। তবে বিলম্ব হলে শরীআর দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।

পুরুষ উমরাকারীর মাথা মুন্ডন করার নিয়ম কী?

পবিত্র কুরআনে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য চুল কাটার দু‘টি পদ্ধতি একসাথে উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

لَتَدۡخُلُنَّ الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ اٰمِنِیۡنَ ۙ مُحَلِّقِیۡنَ رُءُوۡسَکُمۡ وَ مُقَصِّرِیۡن

‘‘তোমরা ইনশাআল্লাহ নিরাপদে তোমাদের মাথা মুন্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল—মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে।’’ [আল—কুরআন, সূরা ফাতহ:২৭]

মাথামুণ্ডন বা চুল ছোট করার প্রভাবটা মাথার উপর স্পষ্টভাবে দেখা যেতে হবে। মাথার কিয়দাংশ খুর দিয়ে ভালভাবে মুণ্ডন করা এবং বাকীটুকু রেখে দেয়া কিংবা এক—দুই বা তিনটি চুল কাটলে হবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) চুল কাটার জাহিলী পদ্ধতি ‘আল—কাযা’ (القزع) থেকে নিষেধ করেছেন। ইবন উমর (রা.) বলেন,

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى غُلَامًا قَدْ حُلِقَ بَعْضُ رَأْسِهِ وَتُرِكَ بَعْضُه، فَنَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: "احْلِقُوا كُلَّه، أَوْ ذَرُوا كُلَّهُ"

“রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি শিশুর মাথা মুণ্ডন করতে দেখলেন যে, তার কিছু অংশ মুণ্ডন করছে আর কিছু অংশ অবশিষ্ট রেখে দেয়া হচ্ছে। তিনি তা থেকে নিষেধ করলেন এবং বললেন, হয়তো পুরো মুণ্ডন করো অথবা পুরো রেখে দাও।” [আব্দুর রাজ্জাক, আল—মুসান্নাফ, ২০৬২০]

তাই যদি মুণ্ডন করতে চায় তাহলে গোটা মাথার চুল মুণ্ডন করবে। আর যদি চুল ছোট করতে চায় তাহলে সম্পূর্ণ মাথার চুল ছোট করবে।

নারী উমরাকারীর চুল কাটার করার নিয়ম কী?

নারীদের জন্য আল—হলক বা মুণ্ডন নেই। নারীদের ক্ষেত্রে চুলের গোছা থেকে হাতের আঙুলের এক কর পরিমাণ চুল কেটে ফেলাই যথেষ্ট। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,

لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ الْحَلْقُ ، وَإِنَّمَا عَلَى النِّسَاءِ التَّقْصِيْرُ.

“নারীদের ব্যাপারে মাথা কামানোর বিধান নেই, তাদের ওপর রয়েছে ছোট করার বিধান”। [আবূ দাউদ, আস—সুনান, ১৯৮৫]

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত,

نَهَى رَسُوْلُ الله صلى الله عليه وسلم أَنْ تَحْلِقَ الْمَرْأَةُ رَأْسَهَا.

“রাসলুল্লহ (সা.) নারীকে মাথা মুণ্ডন করতে নিষেধ করেছেন।” [তিরমিজি, আস—সুনান, ৯১৫]

সুতরাং মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, তারা তাদের মাথার সব চুল একত্রে ধরে অথবা প্রতিটি বেণী থেকে এক আঙুলের প্রথম কর পরিমাণ কাটলে যথেষ্ট হবে।

উমরায় টাক মাথার মুন্ডন নিয়ম

টাক মাথার মুন্ডন কি অপরিহার্য ?

কারো টাক মাথা থাকলে মাথায় ব্লেড বা ক্ষুর চালিয়ে দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে কারো মাথায় চুল এক—দু’দিন পুর্বে মুণ্ডন করায় চুল না থাকলেও সে শুধু ব্লেড—ক্ষুর বিংবা চুল কাটার মেশিন দিয়ে পুরো মাথায় ঘুরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ‘ওয়াজিব’ আদায় করবে। [ফতোয়ায়ে আলমগিরি, ১/১৪৯]

দ্বিতীয়বার উমরাহ করার সময় মাথা মুন্ডন করার নিয়ম কি

প্রথম উমরার হলকে চুল মুণ্ডন করায় দ্বিতীয় উমরায় মুণ্ডন প্রয়োজন নেই এমন নয়। চুল এক—দু’দিন পুর্বে মুণ্ডন করায় মাথায় চুল না থাকলেও শুধু ব্লেড—ক্ষুর বিংবা চুল কাটার মেশিন দিয়ে পুরো মাথায় ঘুরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ‘ওয়াজিব’ আদায় করতে হবে। [ফতোয়ায়ে আলমগিরি, ১/১৪৯]

উমরার পর বগল ও অন্যান্য পশম কী পরিস্কার করতে হবে?

মাথা মুণ্ডনের পর শরীরের অন্যান্য অংশের অবিন্যস্ত অবস্থা দূর করা সুন্নত। তবে হালাল হওয়ার জন্য তা শর্ত নয়। বগল ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করাও বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وليَقْضُوْا تَفَثَهُمْ

“এবং তারা যেন তাদের ময়লা পরিষ্কার করে।” [আল—কুরআন, সূরা হজ্জ:২৯]

রাসূলুল্লাহ (সা.) নখ কেটেছিলেন। [সাইয়িদ আস—সাবিক, ফিকহু আস—সুন্নাহ, ১/৭৪৩] এবং ইবন উমর (রা.) হজ অথবা উমরার পর গোঁফ কাটতেন। [বাইহাকি, আস—সুনান আল—কুবরা, ৯১৮৬]

মাথা মুণ্ডনের কোনো সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি আছে কী?

ডান দিক থেকে মাথা মুণ্ডন করা সুন্নাহ। রাসূলুল্লাহ (সা.) হজ্জে স্বীয় মাথা মোবারক ডান দিকে থেকে মুণ্ডন করেছেন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَى مِنًى، فَأَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا، ثُمَّ أَتَى مَنْزِلَهُ بِمِنًى وَنَحَرَ، ثُمَّ قَالَ: لِلْحَلَّاقِ خُذْ، وَأَشَارَ إِلَى جَانِبِهِ الْأَيْمَنِ، ثُمَّ الْأَيْسَرِ، ثُمَّ جَعَلَ يُعْطِيهِ النَّاسَ

“আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) মিনায় এলেন, জামরাতে এসে তিনি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। এরপর মিনায় তাঁর অবস্থানের জায়গায় এলেন এবং কুরবানী করলেন। তারপর ক্ষৌরকারকে বললেন, নাও। তিনি হাত দিয়ে (মাথার) ডান দিকে ইশারা করলেন, অতঃপর বাম দিকে। তারপর লোকদেরকে তা দিতে লাগলেন।’“[মুসলিম, আস—সহীহ, ৩০২২]

সুতরাং রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্নাহ অনুযায়ী ডান দিকের চুল আগে এবং বাম দিকের চুল পরে মুণ্ডন করা সুন্নাহ।

তওয়াফের পর সাঈ করার পূর্বে মাসিক শুরু হলে মহিলার কী করণীয়?

তওয়াফের পর সাঈ করার পূর্বে মাসিক শুরু হলে সাঈ করে নিবে। সাঈর জন্য পবিত্রতা শর্ত জরুরী নয় এবং সাঈর স্থানও মসজিদের মধ্যে গণ্য নয়। তাই সে সেখানে অবস্থান ও অপেক্ষাও করতে পারে। [ফাতাওয়া ইবন উসাইমীন, ২/২৩৯]

বর্তমানে মহিলাদের মাসিক সাময়িক আটকে দেয়া বা পিছিয়ে দেয়ার নিরাপদ চিকিৎসা ও ঔষধ রয়েছে। বিশ্বস্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উমরার জন্য পরিকল্পনা নেয়া দিনগুলোতে মাসিক আটকে দেয়া বা পিছিয়ে দেয়া বৈধ হবে। [ফাতাওয়া ইবন উসাইমীন, ২/১৮৫]

উমরার নিয়ত কি ভাবে করবো?

ইহরামের দু’টি কাজের সমষ্টি। এক. ইহরামের কাপড় পড়া; দুই. উমরার ক্ষেত্রে ‘লাব্বাইকা ওমরাতান’ (لَبَّيْك عُمْرَةً) আর হজ্জের ক্ষেত্রে ‘লাব্বাইকা হাজ্জান’ (لَبَّيْك حَجً) বলে প্রথম তালবিয়া পাঠ করা। ইবন উমর (রা.) বর্ণিত প্রসিদ্ধ তালবিয়াটি হচ্ছে,

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَك

(লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারীকা লাক) “আমি হাযির, হে আল্লাহ, আমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোন শরীক নেই।” [বুখারী, আস—সহীহ, ৫৪৬০]

আবূ হুরাইরা (রা.)—এর বর্ণনা মতে, তালবিয়ায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন لَبَّيْكَ إِلهَ اْلَحقِّ لَبَّيْكَ (লাব্বাইকা ইলাহাল হাক্কি লাব্বাইক) “আমি হাযির, সত্য ইলাহ! আমি হাযির’। [ইবন মাজাহ, আস—সুনান, ২৯২০] ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলতেন,

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ.

(লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা ওয়া সা‘দাইক, ওয়াল খইরু বিইয়াদাইক, লাব্বাইকা ওয়ার রগবাউ ইলাইকা ওয়াল আমল) ‘আমি হাযির হে আল্লাহ আমি হাযির। আমি হাযির একমাত্র তোমারই সন্তুষ্টিকল্পে। কল্যাণ তোমার হাতে, আমল ও প্রেরণা তোমারই কাছে সমর্পিত।’ [মুসলিম, আস—সহীহ, ১১৮৪]

উপরোক্ত তালবিয়াগুলি পাঠ করাতে কোন সমস্যা নেই। তবে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবীদের ব্যবহৃত শব্দমালার বাইরে যাওয়া যাবে না।

একজন ব্যাক্তি এক সফরে কয়বার ওমরা করতে পারেন?

একজন ব্যাক্তি এক সফরে যতবার ইচ্ছা উমরা করতে পারে। দূরবর্তী দেশ থেকে সফর করে আসা উমরাকারীদের ক্ষেত্রে আলিমগণ বলেন,

وقد يرخص لمن كان بمكة في الخروج إلى التنعيم ليحرم بعمرة عن غيره إذا كان قد جاء من بلاد بعيدة يحتاج إلى تأشيرة ونفقات كثيرة لدخول بلاد الحرمين الشريفين ، ولا يدري هل سيتيسر له ذلك أم لا؟

“কেউ যদি দূরবর্তী কোনো দেশ থেকে মক্কায় আসেন এবং পবিত্র হারামাইনের দেশে প্রবেশের জন্য ভিসা এবং প্রচুর খরচের প্রয়োজন হয়, তবে এমন উমরাকারীর জন্য তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধার অনুমতির ক্ষেত্রে তাকে ছাড় দেওয়া যায়। কেননা, সে জানে না আর উমরা পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে কি—না?” [ইসলাম সাওয়াল জাওয়াব, ১৩৪২৭৬]

একজন ব্যাক্তি একাধিকবার ওমরাহ করা

বারবার উমরা পালন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏"

“আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ্জ ও উমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটো আমল দারিদ্র ও গুনাহ এমনভাবে বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে ভাটার আগুন লোহা ও সোনা—রূপার ময়লা—জং দূরিভূত করে। একটি কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” [তিরমিজী, আস—সুনান, ৮০৮]

তাই বাংলাদেশ থেকে উমরার সফরে থাকা হাজীগণ ইচ্ছা করলে একাধিক উমরা করতে পারেন।

এক সফরে একাধিক ওমরাহ করা যাবে কিনা?

এক সফরে একাধিক উমরা করা যাবে। বারবার উমরা পালন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ ‏"

“আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ্জ ও উমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটো আমল দারিদ্র ও গুনাহ এমনভাবে বিদূরিত করে দেয়, যেভাবে ভাটার আগুন লোহা ও সোনা—রূপার ময়লা—জং দূরিভূত করে। একটি কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” [তিরমিজী, আস—সুনান, ৮০৮]

দূরবর্তী দেশ থেকে সফর করে আসা উমরাকারীদের ক্ষেত্রে আলিমগণ বলেন,

وقد يرخص لمن كان بمكة في الخروج إلى التنعيم ليحرم بعمرة عن غيره إذا كان قد جاء من بلاد بعيدة يحتاج إلى تأشيرة ونفقات كثيرة لدخول بلاد الحرمين الشريفين ، ولا يدري هل سيتيسر له ذلك أم لا؟

“কেউ যদি দূরবর্তী কোনো দেশ থেকে মক্কায় আসেন এবং পবিত্র হারামাইনের দেশে প্রবেশের জন্য ভিসা এবং প্রচুর খরচের প্রয়োজন হয়, তবে এমন উমরাকারীর জন্য তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধার অনুমতির ক্ষেত্রে তাকে ছাড় দেওয়া যায়। কেননা, সে জানে না আর উমরা পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে কি—না?” [ইসলাম সাওয়াল জাওয়াব, ১৩৪২৭৬]

তাই বাংলাদেশ থেকে উমরার সফরে থাকা হাজ্জীরা ইচ্ছা করলে একাধিক উমরা করতে পারেন।

এক সফরে একাধিক বার ওমরা করা উত্তম নাকি বেশি করে তওয়াফ করা উত্তম এবং তওয়াফের ফজিলত কি?

এক সফরে একাধিক উমরা করা যাবে। আবার বেশি বেশি কাবা তাওয়াফ একটি উত্তম আমল। তাওয়াফের ফজিলত সম্পের্ক আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) হতে বর্ণিত,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ ‏"‏

“তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)—কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলো এবং দু’ রাক’আত সালাত পড়লো, সে একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য।’’ [ইবন মাজাহ, আস—সুনান, ২৯৫৬]

‌فَإِذَا ‌طُفْتَ ‌بِالْبَيْتِ، خَرَجْتَ مِنْ ذُنُوبِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ

“তুমি যখন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলে, পাপ থেকে এমনভাবে বের হয়ে গেলে যেমন নাকি আজই তোমার মাতা তোমাকে জন্ম দিলেন।’’ [আব্দুর রাজ্জাক, আল—মুসান্নাফ, ৯১১০]

যার ইচ্ছা সে একাধিক উমরা করবে। যার ইচ্ছা বেশি বেশি তাওয়াফ করবে। দু‘টি আমলের আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

রুকনু ইয়ামানীর বিধান কী? চুম্বন না—কি হাত দিয়ে স্পর্শ?

না, চুম্বন নয়; বরং হাত দিয়ে স্পর্শ করা মুস্তাহাব।

Apply for an Umrah visa and experience the hassle-free journey to the city of Makkah.

Arrow